আ’লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন বলেছেন, আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপ্রান চেষ্টা করছেন দেশটাকে উন্নয়ন করার জন্য সেই উন্নয়নের লক্ষ্যে আমাদের সকলকে প্রতিনিয়ত কাজ করে যেতে হবে।
আমরা পিছিয়ে থাকবো না, দেশটাকে উন্নত করে ছাড়বো। আমি চাই ঠাকুরগাঁও জেলায় কোন যেন সমস্যা না থাকে। কোন সমস্যা আমরা থাকতে দেব না। কিন্তু সকল সমস্যার সমাধান একসাথে করা যাবে না।
তিনি ২৩ মে সোমবার হাসপাতালের ক্যান্টিনে ঠাকুরগাঁও জেলা বিএমএ’র আয়োজনে স্বাস্থ্য সেবা ও অন্যান্য খাতে সার্বিক উন্নয়নে অবিস্মরনীয় অবদানের জন্য সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, আমরা আপ্রান চেষ্টা করেছি কোভিড বিদায় করে দেওয়ার জন্য। বর্তমানে আমরা ভাল আছি। ভাল থাকার মূলে এই ডাক্তার সাহেবদের অবদান অনেক।
স্বাস্থ্যখাততে এত গুরুত্ব দেওয়ার কারন হলো চিকিৎসা যারা করেন, তারা দিন রাত পরিশ্রম করে আমাদের সেবা করেন। এমন কোন ব্যক্তি নাই যাদের সেবা করতে হয় না। এমনকি ডাক্তারারা যারা আছেন, এখানে যদি চিকিৎসা না হয় ঢাকায় যান। এ জন্য আমি সকল চিকিৎসকদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
এ দেশ স্বাধীন করেছেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। এখন মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি দেশ চালাচ্ছে। আমি সকল শহীদদের স্মরন করি। বঙ্গবন্ধু ১৪ বছর কাটিয়েছেন জেলখানায়। কত কষ্টে জীবন কাটিয়েছেন সেটা বলার মত না। আমরা তো খুব আনন্দে আছি। এ আনন্দে থাকার দিন নাই। এখন চলছে আমাদের কষ্টের দিন। আমরা কিভাবে উন্নয়নশীল দেশটাকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শপথ করেছেন আমাদের সবাইকে নিয়ে দেশটাকে উন্নত দেশে পরিনত করবো সেটাই প্রতিজ্ঞা।
আপনারা সবাই চান এখানে মেডিকেল কলেজ হবে। চাওয়াটা স্বাভাবিক, চাওয়ার শেষ নাই। কিন্তু দিতে হলে টাকা লাগবে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে অনেক কিন্তু মৃত্যুবরণ করেছে অনেক কম। আজকে কৃষকেরা আমাদের অন্ন জোগান না দিলে আমরা না খেয়ে থাকতাম। আমরা আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশ অনেক সুন্দরভাবে চালাচ্ছি।
এতে করে পৃথিবীর সকল দেশ চিন্তা করছে বাংলাদেশ কিভাবে এত উন্নত হচ্ছে। কিভাবে তারা কোভিড থেকে পরিত্রান পেয়েছে। আমি নিজেই তা ভাবতে পারি না। আপনাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, আমরা কারও কথা শুনতে চাই না, বুঝতে চাই না। আমরা চাই উন্নয়ন। উন্নত একটি বাংলাদেশ। তিনি আরও বলেন, আমাদের এখানে নার্সিং ইন্সটিটিউট আছে তাদের ঘর নাই। হাসপাতালে অক্সিজেন পর্যাপ্ত ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমরা ভোগী না, আমরা ত্যাগী। এ দেশটা আমাদের সকলের, এ দেশকে আমরা যাতে করে ভাল করতে পারি সে লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।
সর্বপরী ঠাকুরগাঁও জেলা বিএমএ কে ধন্যবাদ জানাই। আপনাদের চাহিদার মেডিকেল কলেজ ও বিমানবন্দর চেয়েছেন সেটা পরে আগে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া প্রতিশ্রতির কাজগুলো শেষ হোক। পরে এ দুটোও হয়ে যাবে।
বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশন (বিএমএ) ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার আয়োজনে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সংগঠনের ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার সভাপতি ডা: আবু মো: খয়রুল কবীরের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন, প্রধান অতিথি আ’লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন, বিশেষ অতিথি ঠাকুরগাঁও জেলা আ’লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ প্রশাসক মুহ: সাদেক কুরাইশী, সাধারণ সম্পাদক দীপক কুমার রায়, সহ সভাপতি মাহাবুবুর রহমান খোকন, ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সম্পাদক নজরুল ইসলাম স্বপন, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা মোজাম্মেল হক, সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ জুলফিকার আলী ভুট্টো, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা বদরুদ্দোজা বদর, হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা: ফিরোজ জামান জুয়েল, সদর উপজেলা আ’লীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. অরুনাংশু দত্ত টিটো, ঠাকুরগাঁও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ্যাড. তোজাম্মেল হক মঞ্জু, সদর উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশারুল ইসলাম সরকার, স্বাধীনতা আইনজীবী পরিষদের সভাপতি ডা: রিয়াজুল ইসলাম, জেলা বিএমএ’র সাধারণ সম্পাদক ডা: মেরাজুল ইসলাম সোনা, জেলা মহিলা লীগের সভাপতি পৌর কাউন্সিলর দ্রৌপদী দেবী আগারওয়ালা, সাবেক সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আশরাফুল হক চৌধুরী প্রমুখ।
এর আগে প্রধান অতিথি রমেশ চন্দ্র সেনকে ফুলেল শুভেচ্ছা ও সম্মাননা স্মারক তুলে দেন বিএমএ’র ঠাকুরগাঁও জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ।
এ সময় মানপত্র পাঠ করে শোনান ডা: আইরিন আক্তার। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ডা: রেজাউল করিম শিপলু। অনুষ্ঠানে হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।